সাদাপাথরের শ্রী ফেরাতে প্রশাসনের তোড়জোড়
সিলেট সাদাপাথর লুটপাট ঘটনা – পূর্ণ সারসংক্ষেপহাইকোর্ট সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া সব পাথর সাত দিনের মধ্যে আগের স্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবীর দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে এই আদেশ হয়। এ বিষয়ে আগামী রোববার শুনানি হবে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশসচিব, আইজিপি, সিলেটের ডিসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।প্রশাসনের পাঁচ সিদ্ধান্ত (বুধবার রাতের সমন্বয় সভা):জাফলং ইসিএ ও সাদাপাথরে ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনীর টহল।গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে স্থায়ী চেকপোস্টে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী।অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বন্ধের অভিযান।পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও মামলা।চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের স্থানে ফিরিয়ে দেওয়া।অভিযান ও উদ্ধার:বুধবার রাত থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭৫ হাজার ঘনফুট পাথর (প্রায় ১৩০ ট্রাক) উদ্ধার।বুধবার রাতে ১২ হাজার ঘনফুট উদ্ধার হয়েছিল।উদ্ধারকৃত পাথর পুনঃস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।জাফলংয়ে উদ্ধার:গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার।ইউএনও রতন কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে পাথর ফের জিরো পয়েন্টে ফেলা হয়।ডিসির পরিদর্শন ও বক্তব্য:বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করেন।তিনি বলেন, পরিবেশ এখনো পর্যটনবান্ধব, তবে ভবিষ্যতে যেন আর ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।গ্রেপ্তার:বৃহস্পতিবার রাতের শেষে কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম গ্রেপ্তার।তিনি আগের অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও জব্দ যন্ত্রপাতি চুরির মামলার আসামি।সাম্প্রতিক লুটপাটে তার সম্পৃক্ততা তদন্ত হচ্ছে।সিলেটের বাইরে উদ্ধার:নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে বৃহস্পতিবার র্যাব-১১ ভোলাগঞ্জের লুট হওয়া ৩০-৪০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে।