স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে প্রার্থী যাঁরা : স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বেশির ভাগই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসনে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে।
স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে কুমিল্লা-১ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী-২ আসনে আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কক্সবাজার-১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভোলা-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ ও দিনাজপুর-৬ আসনে এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঢাকার ১৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন : নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক। ঢাকা-২ আসনে লড়বেন আমানউল্লাহ আমান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রার্থী ঢাকা-৩ আসনে। ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর আহমেদ রবিন। ঢাকা-৫ আসনে লড়বেন নবী উল্লাহ নবী। ঢাকা-৬ আসনে লড়বেন ইশরাক হোসেন।
ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী মির্জা আব্বাস। এম এ কাইয়ুম লড়বেন ঢাকা-১১ আসন থেকে। ঢাকা-১২ আসনে প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব। সানজিদা ইসলাম তুলি লড়বেন ঢাকা-১৪ আসনে। ঢাকা-১৫ আসনে প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম খান। আমিনুল হক লড়বেন ঢাকা-১৬ আসন থেকে। ঢাকা-১৯ আসনে ধানের শীষে লড়বেন ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন।
২৩৭ আসনে প্রার্থী যাঁরা : পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ, দিনাজপুর-১ মো. মনজুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ মো. সাদিক রিয়াজ, দিনাজপুর-৩ খালেদা জিয়া, দিনাজপুর-৪ মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া ও দিনাজপুর-৬ আসন থেকে প্রফেসর এ জেড এম জাহিদ হোসেন নির্বাচন করবেন।
নীলফামারী-২ আসনে এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল, নীলফামারী-৪ মো. আব্দুল গফুর সরকার, লালমনিরহাট-১ মো. হাসান রাজিব প্রধান, লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-১ মো. মোকাররম হোসেন সুজন, রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩ মো. সামসুজ্জামান সামু, রংপুর-৪ মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৫ মো. গোলাম রব্বানী, রংপুর-৬ মো. সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-২ মো. সোহেল হোসনাই কায়কোবাদ, কুড়িগ্রাম-৩ তাজভীর উল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. আজিজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গাইবান্ধা-১ আসনে খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী, গাইবান্ধা-২ মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা-৩ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, গাইবান্ধা-৪ মোহাম্মদ শামীম কায়সার, গাইবান্ধা-৫ মো. ফারুক আলম সরকার, জয়পুরহাট-১ মো. মাসুদ রানা প্রধান, জয়পুরহাট-২ আব্দুল বারী, বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬ তারেক রহমান, বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে মো. সাজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. হারুনর রশিদ, নওগাঁ-১ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২ মো. সামসুজোহা খান, নওগাঁ-৩ মো. ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ-৪ ইকরামুল বারী টিপু, নওগাঁ-৬ শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, রাজশাহী-১ মো. শরীফ উদ্দীন, রাজশাহী-২ মো. মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ ডি এম ডি জিয়াউর রহমান, রাজশাহী-৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ, নাটোর-১ ফারজানা শারমিন, নাটোর-২ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৪ মো. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩ ভিপি আয়নুল হক, সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী, সিরাজগঞ্জ-৫ মো. আমিরুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৬ এম এ মুহিত, পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ মো. হাসান জাফির তুহিন, পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পাবনা-৫ আসনে মো. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২ মো. আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-১ রেজা আহম্মেদ, কুষ্টিয়া-২ রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ মো. জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১ মো. শরীফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান, ঝিনাইদহ-৩ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ মোছা. সাবিরা সুলতানা, যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ টি এস আইয়ুব, যশোর-৬ কাজী রওনকুল ইসলাম, মাগুরা-১ মো. মনোয়ার হোসেন, মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী, নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ মোহাম্মদ আলী আসগর, খুলনা-৬ মনিরুল হাসান বাপ্পী, সাতক্ষীরা-১ মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩ কাজী আলাউদ্দীন এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে মো. মনিরুজ্জামান নির্বাচন করবেন।
BNP has announced 237 candidates for the upcoming 13th national election. Khaleda Zia will contest from three constituencies and Tarique Rahman from Bogura-6 — his first election run. 63 seats remain unannounced for allies or pending decisions. The list includes 83 first-time candidates, 10 women, and 4 minority representatives. Most senior leaders are on the list, but several key figures were excluded. Surveys and consultations guided the selection process. Protests erupted in some areas over nominations. Only Bagerhat district has no BNP candidates declared yet.
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ আসনে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হবেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই তথ্য ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া, দল ২৩৭টি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে বিভিন্ন জরিপ, সাংগঠনিক টিমের মতামত ও স্থায়ী কমিটির আলোচনা করা হয়েছিল।
বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকরা ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে সোমবার রাত ৮টার দিকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি ছিল ঘোষণা করা প্রার্থী কামাল জামানকে বাদ দিয়ে লাভলু সিদ্দিকীকে মনোনয়ন দেওয়া। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের কারণে উভয় পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয় এবং বহু গাড়ি আটকা পড়ে।হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। লাভলু সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, ‘যারা কখনো বিএনপি করেনি, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। মোট ৩০০ আসনের মধ্যে বাকি ৬৩টি আসনের ৪০টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য রাখা হয়েছে। আরও ২৩টি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে সমঝোতা হলে আসন বণ্টনে পরিবর্তন হতে পারে।দলীয় সূত্র জানায়, তিন ধাপের জরিপ ও মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাই করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক সক্ষমতা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি বিবেচনায় নিয়ে কয়েক ধাপে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যাচাই করা হয়।তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচজন শীর্ষ নেতা প্রায় এক মাস আলোচনা করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন। পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তা যাচাই করে ২৩৭টি নাম চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ২৩টি আসনে মতৈক্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকে।স্থায়ী কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, এবার প্রার্থী নির্বাচন আগের তুলনায় আরও গবেষণাভিত্তিক ও সংগঠিতভাবে হয়েছে, যাতে মাঠপর্যায়ের কার্যকর ও জনপ্রিয় নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন টিম গঠন করা যায়।
বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ জল্পনার পর দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনটি আসনে (ফেনী-১, বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩) এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। এছাড়া মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন।দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ১২ জন স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা জমির উদ্দিন সরকার ও সেলিমা রহমানসহ কয়েকজন নির্বাচন করছেন না, তবে জমির উদ্দিন সরকারের আসনে তাঁর ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।ঢাকার সাতটি আসনসহ মোট ৬৩টি আসন পরে ঘোষণা করা হবে। কিছু আসন জোটসঙ্গী দলগুলোর জন্য রাখা হয়েছে।চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো—গুম হওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলিকে ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মোট ১০ জন নারী প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন।মনোনয়ন বণ্টন নিয়ে কিছু এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যেমন মাদারীপুর-১ আসনে বিক্ষোভ হয়। বিএনপি মনে করছে এই নির্বাচন তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।