‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—তিন দিন আগে হুমকি পেয়েছিলেন সরোয়ার
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার চালিতাতলীতে বিএনপির জনসংযোগ কর্মসূচির সময় গুলিতে নিহত হন ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলাকালে হঠাৎ গুলির শব্দে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। সরোয়ারকে পেছন থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হন বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ আরও চারজন।সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের জানিয়েছেন, ঘটনার তিন দিন আগে মো. রায়হান তাঁকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন—“তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে।” নিহতের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সরোয়ারের বাবা বলেন, তাঁর ছেলে নিয়মিত হুমকি পেতেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ও তাঁর সহযোগী ছোট সাজ্জাদ ও রায়হানের কাছ থেকে। এক মাস আগে সরোয়ার বিয়ে করেন এবং সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছিলেন।এর আগে ৩০ মার্চ সরোয়ারের ওপর গুলির চেষ্টা হয়েছিল, যেখানে দুইজন নিহত হন। তখনও অভিযোগ ছিল ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে।সরোয়ার ও ঢাকাইয়া আকবর আগে সাজ্জাদ আলীর অনুসারী ছিলেন, পরে আলাদা হয়ে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। আকবরকে গত মে মাসে গুলি করে হত্যা করা হয়। আকবর হত্যার পরই সরোয়ারকে একইভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয়।ঘটনার পর এলাকা থমথমে, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
