এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার এক সপ্তাহ পার হলেও শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এতে শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ৬৩টি আসন ফাঁকা আছে—এর মধ্যে এনসিপি ও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪০টি আসন শরিকদের ছাড়তে পারে; না হলে এই সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৩-এ। শরিকদের অভিযোগ, বিএনপির প্রার্থীরা ইতিমধ্যে তাদের প্রত্যাশিত আসনে প্রচারণা শুরু করেছেন, ফলে পরে আসন ছাড় কার্যকর করা কঠিন হবে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা স্বীকার করেছেন, দেরি হলে প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হতে পারে এবং কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াতে পারেন।
Read full articleআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী রবিবার (১৬ নভেম্বর) আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।সকালে (১০টা–১২টা) সংলাপে অংশ নেবে:গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।বিকেলে (২টা–৪টা) অংশ নেবে:বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাপ, তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।এর আগে, বৃহস্পতিবার আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
Read full articleপ্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটের উদ্দেশ্য হলো সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন করা। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।গণভোটে ভোটাররা একটি একক প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন, যা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) ২০২৫ এবং সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত প্রধান প্রস্তাবগুলোর প্রতি সম্মতি জিজ্ঞাসা করবে। প্রধান প্রস্তাবগুলো হলো:নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদ অনুযায়ী গঠন করা হবে।সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে; উচ্চকক্ষে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ১০০ এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন।সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকবে।অন্যান্য সংবিধান সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন হবে।যদি গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে। পরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে, যা নিম্নকক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এবার প্রচলিত নিয়মের পরিবর্তে একটির বদলে চারটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এই প্রশ্নগুলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতি, ও নোট অব ডিসেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে হবে।বিএনপি নির্বাচনের দিনেই গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছে, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলাম ১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। সরকার ভারসাম্য রক্ষার পথে থেকে সব দলের মতামত সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Read full article