এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১০ জুলাই) হাসপাতালের সামনে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, বিবস্ত্র করা এবং শরীরের ওপর লাফানোর মতো বর্বরতা চালানো হয়।র্যাব-১১ সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে এ ঘটনায় অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করে।সোহাগের পরিবার জানায়, তিনি পুরনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটের ব্যবসা করতেন এবং একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে, যথাক্রমে ষষ্ঠ ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
Read full articleপুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামি নান্নুকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড গত ১০ জুলাই ঘটে এবং ১১ জুলাই কোতোয়ালি থানায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে এবং তিনি দুই সন্তানের বাবা।
Read full articleমিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ঘটনা, প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রভাবের সারাংশঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে সামনের সড়কে এক ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর মেরে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।🔍 ঘটনার সারাংশ:হত্যা সংঘটিত হয়: বুধবার সন্ধ্যায়, ভিডিও ভাইরাল হয় শুক্রবার।নিহতের পরিচয়: ভাঙারি ব্যবসায়ী, যুবদল কর্মী।অভিযোগ: ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতা থেকে পরিকল্পিতভাবে তাকে দোকান থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।ভিডিও ফুটেজে: বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর ও পাথর নিক্ষেপের নির্মম দৃশ্য দেখা যায়।🛡️ আইন ও তদন্ত:গ্রেপ্তার: সরকার জানিয়েছে, পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে।বিচার: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের ঘোষণা এসেছে।র্যাব ও ডিএমপি: তদন্ত করছে, র্যাব ‘ছায়া তদন্ত’ করছে।🏛️ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:বিএনপি: পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।আন্তঃসংগঠন উদ্যোগ: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।অভিযোগ: যুবদল দাবি করেছে, মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।🧨 সামাজিক ও গণপ্রতিক্রিয়া:সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল।বিক্ষোভ মিছিল: বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে।তারেক রহমানকে লক্ষ্য করে স্লোগান: সামাজিক মাধ্যমে ও মিছিলে কড়া সমালোচনা।🧹 বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া:শুদ্ধি অভিযান ঘোষণা: জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের যাচাই ও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দল।বিরোধী প্রচারণার অভিযোগ: দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, বিএনপিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার চলছে।⚖️ সরকারপক্ষের বার্তা:আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল: দ্রুত বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।সারসংক্ষেপে, এই বর্বর হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক স্তরে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপি দলীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকার দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিলেও, নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের সঠিকভাবে শনাক্ত করার দাবিও জোরালোভাবে উঠেছে।
Read full article