এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
রাজধানী ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত অন্তত নয়টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও চারটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়া হয়। সূত্রাপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, ভাটারা ও উত্তরা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে, তবে হতাহতের খবর নেই।ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, নভেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর ১৫টি স্থানে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং নয়টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।তিনি আরও জানান, ১৩ নভেম্বরের সম্ভাব্য রায়কে ঘিরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই—রাজধানীবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে থাকলে কোনো ধরনের নাশকতা সফল হবে না।
Read full articleআগামী বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় বেবিচক দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনা জারি করেছে।তবে সতর্কতার মধ্যেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনে শুধু ঢাকাতেই ১৪টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে গতকাল চারটি বাস ও একটি প্রাইভেট কারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গত ১১ দিনে রাজধানীতে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় ৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৭টি মামলা হয়েছে।ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের আগুনে এক বাসচালকের মৃত্যু হয়েছে। মানিকগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন দেওয়ার চেষ্টায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।বেবিচক নির্দেশ দিয়েছে, সব বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি, টহল ও অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার করতে।এদিকে ধানমণ্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে, যদিও এতে কেউ হতাহত হয়নি।মূল বার্তা: ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে, কিন্তু বিচ্ছিন্ন সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
সরকার আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের অনলাইন ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—যে কেউ নাশকতার সন্দেহভাজন হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ অনলাইনে ‘লকডাউন’ ডেকেছে, যার আসামিদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।এর আগে কয়েক স্থানে বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটেছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরিশাল অঞ্চল থেকে কিছু আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী ঢাকায় অবস্থান নিচ্ছেন, যাদের ঘিরে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Read full article