এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
আল-জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট একটি নতুন গোপন ফোনালাপ ফাঁস করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন।🔊 গোপন ফোনালাপ ও নির্দেশ:আল-জাজিরার মতে, শেখ হাসিনা নিজেই “ওপেন অর্ডার” দিয়েছিলেন ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর জন্য।একটি রেকর্ডিংয়ে তিনি বলেন:“আমি তো পুরোপুরি ওপেন অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। এখন ওরা মারবে, যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে... আমি তো এতদিন থামিয়ে রেখেছিলাম।”অন্য একটি রেকর্ডিংয়ে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথাও উঠে আসে:“যেখানে তারা কোনো জটলা দেখছে, সেটি ওপর থেকে... এরই মধ্যে কয়েক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে।”💥 প্রাণঘাতী হামলা ও হতাহতের পরিসংখ্যান:তিন সপ্তাহের আন্দোলনে ১৫০০ জন নিহত, ২৫,০০০+ আহত,সরকারদলীয় বাহিনী ছুঁড়েছে ৩০ লাখেরও বেশি রাউন্ড গুলি, বলে দাবি আল-জাজিরার।🧑⚕️ হেলিকপ্টার থেকে গুলি:এক চিকিৎসকের বরাতে জানানো হয়, বহু আন্দোলনকারী হেলিকপ্টার থেকে চালানো গুলিতে নিহত হয়েছেন।⚰️ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও ময়নাতদন্তে হস্তক্ষেপ:ছাত্রনেতা আবু সাঈদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের বিস্তার।শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ফোনে তার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহে তৎপর ছিলেন।রিপোর্টটি পাঁচবার বদলানো হয়, গুলির আলামত মুছে ফেলা হয়।পরিবারকে ভয় দেখিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিভিশনে সাক্ষাৎ করানো হয়।🌐 ইন্টারনেট বন্ধের কৌশল:ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে সহিংসতার তথ্য গোপন করে।🏛️ আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া:রেকর্ডিংকে ভুয়া বলেছে আওয়ামী লীগ।দাবি করেছে, শেখ হাসিনা কখনোই ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের’ নির্দেশ দেননি।আবু সাঈদের পরিবারের আতঙ্কে দুঃখ প্রকাশ, তবে বাহিনীর আচরণ নিয়ে তদন্তে আগ্রহ ছিল বলে দাবি।ইন্টারনেট বন্ধের কারণ হিসেবে আন্দোলনকারীদের ভাঙচুরে অবকাঠামোর ক্ষতিকে দায়ী করেছে।🆕 আসন্ন প্রতিবেদন:আল-জাজিরা আজ প্রকাশ করবে শেখ হাসিনার শাসনের শেষ মুহূর্ত ও “জুলাইয়ের ৩৬ দিন” নিয়ে একটি নতুন প্রতিবেদন।এই সংক্ষিপ্তসারটি আল-জাজিরা প্রকাশিত প্রামাণ্যচিত্র ও প্রতিবেদন থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত। সরকারের পক্ষ থেকে উল্লিখিত বিষয়গুলো অস্বীকার করা হয়েছে।
Read full article