এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
রোববার মুন্সীগঞ্জে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে সরকার কাজ করছে। চার্জশিট কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে, তবে আসামি বেশি হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি নেই এবং অভিযুক্তরা সুবিচার পাবেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, যিনি জানান, শহীদদের কবর সংরক্ষণ ও গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ চলছে। সরকার শহীদদের আত্মার শান্তির লক্ষ্যে কাজ করছে।
Read full articleরাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদের পরিবার একসময় চরম অভাবের মধ্যে ছিল। তার বাবা আবু রায়হান ও ভাই রিকশা চালাতেন এবং টিনের ঘরে থাকতেন। সম্প্রতি রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগে একটি চার কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করছেন, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, হঠাৎ করে এমন আর্থিক পরিবর্তন সন্দেহজনক। পরিবারের দাবি, ভবনটি জমানো টাকা, অনুদান ও ঋণে তৈরি হচ্ছে। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রিয়াদ ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং তার পোশাক-আচরণেও পরিবর্তন এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর তিনি এলাকায় ফিরে লিফলেট বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে।
Read full articleস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) নামে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি তাদের কাছে নেই। মন্ত্রণালয়ের নাম ব্যবহার করে কোনো অপরাধ হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই নিতে হবে।২৭ জুলাই এক প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি” পরিচয়ে রিয়াদের নাম উল্লেখ করে যেসব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে ভবিষ্যতে এমন সংবাদের আগে তথ্য যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছে।
Read full articleঢাকার গুলশানে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। একজন কিশোর হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।তদন্তের স্বার্থে চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত। চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তরা সমন্বয়ক পরিচয়ে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে প্রথমে ১০ লাখ টাকা নেয় এবং পরবর্তীতে বাকি টাকা আনতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, তারা বাদীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে।এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের সঙ্গে জড়িত এবং ঘটনার পূর্ণ রহস্য উদঘাটনে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
Read full articleঘটনার সারমর্ম:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ নিয়ে যান আওয়ামী লীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিল ভীতি সৃষ্টি করে চাঁদা আদায়।মূল অভিযুক্ত:সংগঠনটির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ। তার সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন নেতা।চাঁদাবাজির কৌশল:“পলাতক আসামি আছে” এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ নিয়ে গিয়ে শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয় দেখান।প্রথমে ১০ লাখ টাকা আদায়, এরপর ৪০ লাখ টাকার জন্য দুই দফা চেষ্টার অভিযোগ।গ্রেপ্তার ও মামলা:গত শনিবার গুলশান থেকে রিয়াদসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা হয়।রিয়াদসহ ৪ জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং ১ জন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।পুলিশের ভাষ্য:অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রনেতা পরিচয়ে অভিজাত এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।পুলিশকে "ট্রাম্প কার্ড" হিসেবে ব্যবহার করে ভয় দেখাতেন।আদালতে প্রতিক্রিয়া:আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের ক্ষোভ প্রকাশ, গালমন্দ ও মারধরের চেষ্টা।আইনজীবীরা বলছেন—“তোরা জুলাই চেতনা বিক্রি করে চাঁদাবাজি করেছিস।”ব্যক্তিগত জীবন ও বিতর্ক:রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে।আর্থিক কষ্টে বেড়ে ওঠা পরিবার হলেও হঠাৎ পাকা বাড়ি নির্মাণ, যা নিয়ে এলাকায় আলোচনা।বাড়ির ছাদ ঢালাইসহ নির্মাণে ১২–১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে ধারণা।রিয়াদের পরিবারের বক্তব্য:পরিবার বলছে, ছেলেকে মানুষের সাহায্যে পড়াশোনা করানো হচ্ছে।ভবনের খরচ ব্র্যাক ঋণ ও জমানো টাকায় চলছে বলে দাবি।
Read full article