জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে তার মা রেখা আক্তার নিজে বংশাল থানায় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। রোববার রাতভর অভিযান চালানোর পর সোমবার ভোরে তিনি মাহিরকে থানায় নিয়ে আত্মসমর্পণ করান।পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।গত রোববার বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনি করতে যাওয়ার পথে জুবায়েদ খুন হন, পরে একটি বাড়ির সিঁড়ি থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহতের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত জানান, তারা ছাত্রী বর্ষা, তার বাবা-মা, বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু নাফিসকে আসামি করে মামলা করতে চেয়েছেন, তবে থানার ওসি এতজনের নাম না দিতে পরামর্শ দেন।পরিবারের দাবি, হত্যায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং ন্যায়বিচারই তাদের একমাত্র চাওয়া।
Read full articleজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে তাঁর মা রেখা আক্তার নিজে বংশাল থানায় সোপর্দ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য স্বীকার না করলেও জানানো হয়েছে, মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে, যা শিগগিরই জানানো হবে।গতকাল রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।জানা গেছে, জোবায়েদ ওই ভবনের এক ছাত্রীকে পড়াতেন, যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার সময় তিনজন উপস্থিত ছিলেন, এবং ছুরিকাঘাত করে মাহিরই।অন্যদিকে, খুনের ১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি। জোবায়েদের পরিবার অভিযোগ করেছে, তারা ছয়জনের নামে মামলা করতে চাইলেও থানার ওসি তা নিরুৎসাহিত করেছেন। পুলিশ জানায়, দাফনের পর মামলা করা হবে।
Read full article