এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
আগামী ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, কেপিআই এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, টহল জোরদার ও খোলা তেল বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে দেখলে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে রয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আছে। নির্বাচনের প্রস্তুতিও মোটামুটি সন্তোষজনক, প্রস্তুতি শেষে একটি মহড়া আয়োজন করা হবে।
Read full articleবিএনপি জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে গিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার দায়দায়িত্ব পুরোপুরি সরকারের ওপরই পড়বে, সনদে স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সে সিদ্ধান্ত মানার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ এক বছরের আলোচনার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গত ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়, যা বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ।অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কিছু বক্তব্য সনদের বাইরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্য উপেক্ষার শামিল।
Read full articleনির্বাচনী প্রচারণায় এবার প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন আচরণবিধিতে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড, ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার করতে পারবেন।এছাড়া ড্রোন ব্যবহার ও বিদেশে প্রচারণা চালানোতেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর এআই-নির্ভর প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।সব প্রার্থীকে এখন থেকে আচরণবিধি মানার অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে এবং একই মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে।বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা দেড় লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও ইসির হাতে থাকবে।
Read full articleদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নির্বাচনের আগে জটিল ধোঁয়াশায় ঘেরা। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বিরোধ, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যু নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। তিন মাস বাকি থাকলেও সরকার এখনো জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও অনিশ্চয়তা:দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে—সরকার বলছে বল এখন দলের কোর্টে, আবার দলগুলো বলছে সরকারের কোর্টে। উপদেষ্টাদের কিছু অংশ স্বার্থসিদ্ধির জন্য পরিস্থিতি জটিল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আইনশৃঙ্খলার অবনতি:চট্টগ্রামে এক প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান:বিএনপি বলছে, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং তাদের কোনো সংশয় নেই।জামায়াত গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে সমাধান চায়, কিন্তু দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব স্পষ্ট।অন্যান্য দলের মন্তব্য:এলডিপি ও এনসিপি নেতারা মনে করেন, সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের অভাবে আস্থা কমছে, সন্ত্রাস ও অস্ত্রের প্রবাহ বাড়ছে। দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সহিংসতা অনিবার্য হতে পারে।➡️ সারসংক্ষেপে:জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আস্থার সংকট চরমে। গণভোট, আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক বিভাজন—সব মিলিয়ে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে সংকট সমাধান হবে, না আরও ঘনীভূত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশে একটি মহল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে মানুষকে ১৯৭১ সালের বীরত্ব ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে এবং নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানেই দেশের সর্বনাশ।ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফখরুল বলেন, “আজ তরুণদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যেন ১৯৭১ সালে কিছুই হয়নি, বর্তমান প্রজন্মই সব করেছে।” তিনি তরুণদের স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশের জন্ম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ফল, তাই সেই ইতিহাস ভুলে গেলে জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।তিনি আরও বলেন, “যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে আপস করা যায় না।” মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখনই গর্জে ওঠার সময়—দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।”তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মহল ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশের সম্পদ গ্রাস করতে চাইছে। সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচন বানচাল ও পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেন।অন্যদিকে, ফখরুল তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তাঁর বাবা মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ সালে ভারতের ইসলামপুর রিফিউজি ক্যাম্পে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাড়িতে ফিরে দেখেন সব লুট হয়ে গেছে। তাঁর মা গয়না বিক্রি করে সংসার চালান, আর ফখরুল শিক্ষকতা শুরু করে প্রথম বেতন মায়ের হাতে তুলে দেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি হবে প্রথম পোস্টারবিহীন নির্বাচন। সোমবার ইসি ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি ২০২৫’ জারি করেছে, যেখানে নির্বাচনী প্রচারণা, বিশেষ করে অনলাইন প্রচার সংক্রান্ত নির্দেশনাও রয়েছে।আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড, দেড় লাখ টাকা জরিমানা, এবং রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা যাবে। গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও থাকবে ইসির হাতে।
Read full article