এই বিষয়ে চলমান আপডেটগুলো দেখুন
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার চালিতাতলীতে বিএনপির জনসংযোগ কর্মসূচির সময় গুলিতে নিহত হন ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলাকালে হঠাৎ গুলির শব্দে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। সরোয়ারকে পেছন থেকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হন বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ আরও চারজন।সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের জানিয়েছেন, ঘটনার তিন দিন আগে মো. রায়হান তাঁকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন—“তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে।” নিহতের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সরোয়ারের বাবা বলেন, তাঁর ছেলে নিয়মিত হুমকি পেতেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ও তাঁর সহযোগী ছোট সাজ্জাদ ও রায়হানের কাছ থেকে। এক মাস আগে সরোয়ার বিয়ে করেন এবং সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছিলেন।এর আগে ৩০ মার্চ সরোয়ারের ওপর গুলির চেষ্টা হয়েছিল, যেখানে দুইজন নিহত হন। তখনও অভিযোগ ছিল ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে।সরোয়ার ও ঢাকাইয়া আকবর আগে সাজ্জাদ আলীর অনুসারী ছিলেন, পরে আলাদা হয়ে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। আকবরকে গত মে মাসে গুলি করে হত্যা করা হয়। আকবর হত্যার পরই সরোয়ারকে একইভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয়।ঘটনার পর এলাকা থমথমে, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাত ১২টার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামে গোলাম আকবর ও গিয়াস কাদেরপন্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, সংঘর্ষের কারণ স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ। গত এক বছরে রাউজানে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হলেও এখনো কোনো অস্ত্রধারী ধরা পড়েনি।
Read full article🔹 জামায়াতে ইসলামীতে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ : সংক্ষিপ্তসারঅতীতে সুশৃঙ্খল ও ক্যাডারভিত্তিক দল হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামীতে এবার মনোনয়ন প্রক্রিয়া ঘিরে বিরোধ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে—যা দলটির ইতিহাসে বিরল।প্রকাশ্যভাবে ৪টি আসনে সংঘাত ও বিক্ষোভ এবং আরও ৪টি আসনে অপ্রকাশ্য বিরোধ চলছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।🟦 প্রকাশ্য বিরোধ থাকা আসনসমূহময়মনসিংহ–৬ (ফুলবাড়িয়া)সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ।তাঁর সমর্থকরা প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন।জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক পদ স্থগিত হয়েছে।কুমিল্লা–৭ (চান্দিনা)সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেনকে “আওয়ামী দোসর” বলে বিক্ষোভ।মিছিল, ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও স্লোগান: “দল বিক্রি চলবে না, আওয়ামী দোসর প্রার্থী মানি না”।তৃণমূলের ভোটে মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা শাকের উল্লাহ বাদ পড়ায় ক্ষোভ।পাবনা–৫ (সদর)সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা ইকবাল হোসেনকে বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ।স্থানীয়রা চান আবদুর রহিম (প্রবীণ নেতা) প্রার্থী হন।ইকবালের বিরুদ্ধে “অপকর্মে জড়িত” থাকার অভিযোগ রয়েছে।নরসিংদী–৫ (রায়পুরা)তৃণমূলের আপত্তিতে প্রার্থিতা স্থগিত।🟦 অপ্রকাশ্য বা সীমিত অসন্তোষচট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া)প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী ঘোষণায় বিলম্ব ও অভ্যন্তরীণ বিভাজন।স্থানীয় প্রচারণায় এখনো তাঁকে সক্রিয় দেখা যায়নি।কুষ্টিয়া–৩প্রথমে মনোনীত ফরহাদ হুসাইনকে বাদ দিয়ে বিতর্কিত ওয়াজ বক্তা আমির হামজাকে প্রার্থী করা হয়।হামজার অতীতে আওয়ামী লীগের প্রশংসা করায় তৃণমূলের একাংশ তাঁর বিপক্ষে।সিলেট–৫জনপ্রিয় প্রার্থী ফরিদউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আনোয়ার হোসেন খানকে মনোনয়ন।স্থানীয়রা নতুন প্রার্থীকে গ্রহণ করছে না, ঐক্যের অভাব স্পষ্ট।গাজীপুর–৬ (নতুন আসন)তুরস্কফেরত ড. হাফিজুর রহমানকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনয়ন, তৃণমূলের মতামত ছাড়া।স্থানীয় নেতারা বলছেন, “তিন মাসে তাকে নির্বাচনে লড়ার মতো জনপ্রিয় করা অসম্ভব।”🟦 দলীয় অবস্থানজামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন—“কিছু সমর্থক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করেছে, তারা দলীয় শৃঙ্খলা জানে না। রুকন পর্যায়ের কেউ জড়িত নয়। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”🟦 বিশ্লেষণদীর্ঘদিন সুশৃঙ্খল কাঠামো বজায় রাখলেও এবারের নির্বাচনে তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট।মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তরুণ ও পুরোনো নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, অভিযোগ–বদল, ও কেন্দ্রীয় কর্তৃত্বের প্রভাব বেড়েছে।এতে দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং কিছু আসনে জয়ের সম্ভাবনাও ঝুঁকির মুখে।🗳️ সারসংক্ষেপ:জামায়াতে ইসলামীতে এবারের নির্বাচনে বিরল ধরনের মনোনয়ন–সংঘাত দেখা দিয়েছে—যেখানে অন্তত ৮টি আসনে প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য দ্বন্দ্ব চলছে।কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা সত্ত্বেও তৃণমূলের অসন্তোষ ও নেতৃত্ব বিভাজন দলটির ঐক্য ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে চাপ তৈরি করেছে।
🔹 বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ও জোট আলোচনা : সংক্ষিপ্তসারদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি এখন পর্যন্ত ২৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।বাকি ৬৪টি আসনে প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে চলছে গভীর হিসাব-নিকাশ ও জোট আলোচনা।🟦 জোট ও আসন সমঝোতাবিএনপি প্রাথমিকভাবে ৪০টি আসন শরিকদের জন্য ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে।কিন্তু আরপিও সংশোধনের ফলে জোট থাকলেও প্রতিটি দলকে নিজ নিজ মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা জোট কৌশলকে জটিল করেছে।এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি) যদি জোটে যুক্ত হয়, তাহলে আসন বণ্টনে বড় পরিবর্তন হতে পারে।বিএনপি নেতারা মনে করছেন, অতিরিক্ত আসন ছাড় দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ অনেক শরিক দলের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তি কম।🟦 জোটে আলোচনাধীন দলসমূহএখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করছে:লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণঅধিকার পরিষদ, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিএনপি (বিজেপি), এনডিএম, এনপিপি, গণফোরাম, লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ও অন্যান্য সমমনা দল।👉 এনসিপির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।🟦 শরিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাআন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি): ঢাকা–১৭ (গরুর গাড়ি মার্কা)ববি হাজ্জাজ (এনডিএম): ঢাকা–১৩নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ): পটুয়াখালী–৩রাশেদ খান: ঝিনাইদহ–২জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি): ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ওমর ফারুক (এলডিপি): চট্টগ্রাম–১৪মান্না (নাগরিক ঐক্য): বগুড়া–২সাহাদাত হোসেন সেলিম (বাংলাদেশ এলডিপি): লক্ষ্মীপুর–১ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান (লেবার পার্টি): ঝালকাঠি–১ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (এনপিপি): নড়াইল–২সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দল): কিশোরগঞ্জ–৫🟦 বিএনপির ঘোষণাবিহীন ৬৪ আসনএগুলোর মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও–২, দিনাজপুর–৫, বগুড়া–২, নড়াইল–২, ঢাকা–১৩, ঢাকা–১৭, পটুয়াখালী–৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬, কক্সবাজার–২, চট্টগ্রাম–১৪ প্রভৃতি আসন।🟦 মূল অবস্থা সংক্ষেপেবিএনপি এখনো চূড়ান্ত আসন বণ্টন চূড়ান্ত করেনি।শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে আরো সময় লাগবে।অনেক শরিক নেতা ইতিমধ্যে নিজ এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন।বিএনপি মনে করছে, নিজস্ব প্রার্থীদের মাধ্যমে জেতাই বেশি বাস্তবসম্মত কৌশল।🗳️ সারমর্ম:বিএনপি ২৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বাকি ৬৪ আসন জোট শরিকদের সমন্বয়ে এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।এনসিপি যুক্ত হলে পুরো সমীকরণ বদলে যেতে পারে, আর আরপিও সংশোধনের কারণে জোটে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিজস্ব প্রতীকেই ভোটে যেতে হবে, যা বিএনপির জন্য নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।